ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাইজেশনের প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সে সংকটও অতিক্রম করতে আমরা কাজ করছি-আমরা সফল হবো।’
আমেরিকা প্রবাসি বাংলাদেশি ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের আয়োজিত ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন-লাইনে সংযুক্ত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নসহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছিয়ে নেই।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করায় সৃষ্ট পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। এই অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফসল বলে উল্লেখ করেন কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার।
কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে তার ৩৫ বছরের পথপরিক্রমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬৪ সালে এই ভূখণ্ডে প্রথম কম্পিউটার আসে কিন্তু ১৯৮৭ সালের আগে পর্যন্ত কম্পিউটার কেবল বিশেজ্ঞরা ব্যবহার করতেন। কম্পিউটারে বাংলাভাষা প্রবর্তনের পর কম্পিউটার জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট অত্যাবশ্যক: মন্ত্রী জব্বার
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং আইটিইউ ও ইউপিইউ-এর সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাইজেশনের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে তা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেন। মোবাইল ফোন সহজলভ্য করতে এবং ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালুসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাইজেশনে বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেন তিনি।’
দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে এবং এখাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারের গৃহীত প্রযুক্তিবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সরকারের গৃহীত বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের মেধাবি নতুন প্রজন্ম আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বড় হাতিয়ার।’